Tuesday 3 October 2017

মার্কেটিং সম্পর্কে আমার ধারণা



আপনি যখন কোন প্রোডাক্ট বা Service  বাজারে আনতে চাচ্ছেন তখন আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখা উচিৎ ওঁই প্রোডাক্ট বা Service  টির মার্কেটে need আছে কিনা। আপনি আপনার মত অনেক ভাল একটা প্রোডাক্ট বা Service ready করলেন কিন্তু মার্কেটে তার কোন need  নাই । সেই প্রোডাক্ট বা Service টি বাজারে বিক্রি করতে আপনার কোম্পানির sales department এর বারোটা বেজে যাবে ।

আবার প্রোডাক্ট ready  করার পর আপনি খুব খুশি অনেক ভাল একটা প্রোডাক্ট ready করেছেন । এখন মার্কেট যাচাই না করেই  মনের মাধুরি মিশিয়ে pricing করলেন যা কিনা customer এর buying range এর বাইরে চলে গেল । তখন প্রোডাক্ট টি আর বিক্রি হল না ।যেকোনো প্রোডাক্ট বা Service  যখন develop করবেন তখন অবশ্যই কয়েকটা factor মাথায় রাখা উচিৎ ।


১. ক্রেতাঃ সবসময় মনে রাখতে হবে ক্রেতা খুশি ত আপনি সফল আর ক্রেতা নারাজ ত আপনি শেষ । ক্রেতার সমস্যার সমাধান দেওয়াই আপনার কাজ । মনে রাখতে হবে আপনি তাকে সমাধান দিয়ে তার থেকে আপনি value earn করবেন, সেটা হতে পারে টাকায় । আর আপনি যখন প্রোডাক্ট বানাবেন তখন অবশ্যই মনে রাখতে হবে আপনি ক্রেতা কে একটা সমস্যার সমাধান দিচ্ছেন এবং তার বিনিময়ে একটা VALUE পাবেন । 

মনে রাখবেন customer value = benefits – cost .




২. দামঃ আপনি  ক্রেতার জন্য যে প্রোডাক্ট টি বানিয়েছেন সেটি কিনতে ক্রেতা সক্ষম কিনা তা মাথায় রাখুন  । আপনি যে ধরনের ক্রেতা কে টার্গেট করেছেন তার কেনার সামর্থ্য কতটুকু সেটি আপনাকে বিবেচনা করতে হবে  । মনে রাখতে হবে ক্রেতা অনেক কিছুর দ্বারা প্রভাবিত হবে । সবকিছু মাথায় রেখে আপনার দাম টিক করতে হবে । ক্রেতা যদি কোন service আপনার কাছ থেকে কেনে এবং সেটার জন্য আপনার কাছে তাকে রেগুলার আসতে হয়, তাহলে তার আসা যাওয়ার avg. Cost ও আপনার প্রোডাক্ট cost এর মধ্যেই ধরতে হবে ।


৩.স্থানঃ কোন জায়গায় আপনি আপনার প্রোডাক্ট টি বিক্রি করছেন তার উপর নির্ভর করছে আপনার বিক্রির volume . যতটুকু পারেন আপনার প্রোডাক্ট টি customer এর দোরগোড়ায়  পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করুন । অনলাইনে বেশি বিক্রি করুন । আপনার প্রোডাক্ট টি ক্রেতার হাতের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসুন । আপনার প্রোডাক্ট টি যেন সহজে একজন কিনতে পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখুন । প্রোডাক্ট কেনার জন্য কোম্পানির প্রসেস সহজ করুন ।  




৪.যোগাযোগঃ ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করুন । মনে রাখবেন ক্রেতা যদি আপনাকে একবার বিশ্বাস করে তখন আপনার কাছেই সে বার বার আসবে ।  সবসময় চেস্টা করুন যেকোন ভাবেই হোক ক্রেতার চোখের সামনে থাকার, ভেবে দেখুন লাক্স সাবান কেন এত Ad দেয় ।  আপনার প্রোডাক্ট টি visible করুন । আপনার প্রোডাক্ট টির Ad যেন Personal ভাবে সবাইকে touch করে । সবাই যেন আপনার প্রোডাক্ট টি পেতে চায় । আর এটা মাথায় অবশ্যই রাখা উচিৎ আপনার টার্গেট ক্রেতারা কোন ধরনের মিডিয়া বেশি use করে, যদি FB use করে তাহলে fb তে Ad দেন, যদি daily soup বেশি দেখে তাহলে tv তে ad দেন । Ad দেওয়ার সময় চিন্তা করুন কি ধরনের ad মানুষ দেখবে  এবং তার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রোডাক্ট এর সম্পরকে কি ধরনের Information দিতে চান ।


আমাদের মনে রাখতে হবে বর্তমানে আপনি কি প্রোডাক্ট বানাচ্ছেন তার চেয়ে important হল আপনি কি সমস্যার কি সমাধান দিচ্ছেন । ক্রেতার জন্য এমন কিছু নিয়ে আসেন যাতে ক্রেতা অভিভূত হয় এবং সেটার জন্য ক্রেতা একটা মুল্যমান দিতে প্রস্তুত থাকে । 

সহজে ঝামেলাহীন ভাবে পাসপোর্ট পাবেন যেভাবে

বাংলাদেশ এখন শুধু বাংলাদেশ নয়। এখন আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং আসলেই সত্যি আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ এ আছি । কিন্তু আমরা আমাদের বোকামির কারনে পুরোপুরি সুবিধাগুলো নিতে পারছি না। আজকে বলার চেষ্টা করব কত সহজে আপনি আপনার পাসপোর্ট টি করতে পারবেন কোন ঝামেলা ছাড়াই । নিচের পদক্ষেপগুলো অনুসরন করেই আপনি পেয়ে জাবেন আপানার পাসপোর্টটি।

 ১. প্রথমেই বলি যদি পাসপোর্ট অনলাইনে করতে না চান, তাহলে কোন লাভ নেই কারন পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আবার লাইন এ দাড়িয়ে আপনাকে এই তথ্য দিতে হবে। তাই আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল অনলাইনেই এ ফর্ম ফিল আপ করা । ইহা খুব সহজ। http://www.passport.gov.bd/ এই ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করুন। (ফর্ম ফিল আপ এর সময় browser হিসাবে আপনি Internet explorer অথবা Mojila Firfox ব্যবহার করুন । safari, Chrome, opera, পরিত্যাজ্য)

ওয়েবসাইট এর প্রথম পাতা

উপরের ছবিতে আপনি ৩ , ৪ , ৭ নং পয়েন্ট খুব ভাল করে পড়ুন । ৩ নং পয়েন্ট এ আপনার NID Card or Birth Certificate এর কথা বলা আছে । যেকোন একটি হলেই চলবে । ৪ নং পয়েন্ট এ বলা আছে কে কে আপনার এই NID Card or Birth Certificate সত্যায়িত করতে পারবে । মনে রাখবেন যিনি সত্যায়িত করবেন উনার NID Card এর number লাগবে । ৭ নং পয়েন্ট এর কথা বলি, নামের সময় শিক্ষাগত বা চাকুরীসূত্রে প্রাপ্ত পদবীসমূহ (যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ডক্টর, পিএইচডি ইত্যাদি) নামের অংশ হিসেবে লেখা যাবে না। আবেদনকারীর পিতা, মাতা, স্বামী/স্ত্রী মৃত হলেও তার/তাদের নামের পূর্বে ‘মৃত/মরহুম/Late’ লেখা যাবে না। যাদের নামের শুরুতে MD আছে তারা full form লিখবেন (Mohammad) . 

 ২. অনলাইনে ফর্ম ফিলআপ করার আগে যদি ব্যাংক এ টাকা জমা দিয়ে নেন তাহলে ভাল হয় । যেসব ব্যাংক এবং তাদের যেসব নির্দিষ্ট শাখায় টাকা জমা দিতে পারবেন, তার লিস্ট উপরোক্ত ওয়েবসাইট পেয়ে জাবেন। টাকা জমা দেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন আপনি সিরিয়াল নাম্বার কত পান ওই নাম্বার টাই লাগবে অনলাইনে ফর্ম ফিলআপ করতে। আর আপনাকে যে রিসিপ্ট দিবে তা যত্নে রাখুন । মনে রাখবেন সব ব্যাংক এবং সব শাখায় পাসপোর্ট এর টাকা জমা নেয় না।

 ৩. অনলাইনে সময় নিয়ে ফর্ম পূরণ করুন। শেষ করার পর যখন আপনি সাবমিট করবেন তখন আপনি একটি অনলাইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড পাবেন এবং সাথে সাথে আপনার ফর্ম টি ডাউনলোড হবে এই ফাইল টি সংরক্ষণ করুন আর যদি পারেন সাথে সাথে প্রিন্ট করুন । প্রিন্ট করার পর খুব ভাল ভাবে আপনার সবগুলো তথ্য check করে নিন । যদি ভুল থাকে পুনরায় আবার নিশ্চিন্তে ফর্ম ফিলআপ করুন এবং প্রিন্ট করুন ।

 ৪. যদি আপানার ফর্ম টি ঠিক থাকে তাহলে উহার একটি ফটোকপি করান ।

 ৫. এবার এই দুই সেট ফর্ম নিয়েই আপনার কাজ । সবার আগে প্রথম পাতার ১ নং পয়েন্ট এ আপনার নাম বাংলায় লিখুন ।তারপরে ২৪ নং পয়েন্ট এ আপনার ঘরে টিক চিনহ দিন ।

 ৬. এবার পাতা ৩ এর নিচে আপানার সাক্ষর দিন । পাতা ৪ এর উপরে যিনি আপনাকে প্রত্যয়ন করছেন তার বাসার ঠিকানা এবং তার NID এর নাম্বার, তার সীল মহর এবং তার সাক্ষর নিতে হবে।

 ৭. প্রথম পাতায় আপনার পাসপোর্ট সাইযের ছবি প্রথমে আঠা দিয়ে লাগান এবং তার উপরে সত্যয়ন করুন । এই পাতার ডান পাশে আপানার ব্যাংক রিসিপ্ট টি আঠা দিয়ে লাগান। সাবধানে লাগান, সুদুমাত্র রিসিপ্ট এর উপরের অংশে আঠা লাগাবেন ।

 ৮. এইবার এই দুই সেট একসাথে পিন আপ করুন ।

৯. আপনার ফর্ম সাবমিট করার সাথে সাথে আপনি যে ফর্ম টি ডাউনলোড করবেন উহার একেবারে প্রথম পাতায়, একেবারে প্রথমে আপনি আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এর নাম দেখতে পাবেন । উক্ত নামটীর সাথে passport office কথাটি যুক্ত করে গুগল এ সার্চ দিন, যেমন jatrabari passport office bd, সার্চ দিলেই আপনাকে exactly কোথায় যেতে হবে তা আপনি দেখতে পাবেন।

 ১০. ১৫ দিনের মধ্যে আপনাকে আপনার পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে। নচেৎ আপানার ডাটা মূছে ফেলা হবে।

 ১১. খূব সকাল সকাল বের হলে আপনার জন্য ভাল । পাসপোর্ট অফিস এ গিয়েই কিছু না বুজে কোন লাইন এ দারাবেন না। আগে সঠিক মানুষকে(নিরাপত্তা কর্মী) জিজ্ঞাসা করুন তারপর লাইনে দাড়ান । প্রথমে লাইন থেকে আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে আপানার নাম, পেশা ইত্যাদি । এখান থেকে আপনাকে ছেড়ে দিলেই আপনি সরাসরি আপানার ছবি এবং আঙ্গুলের ছাপ দিতে পরবর্তী ফ্লোর বা রুম এ জাবেন, মনে রাখবেন আপনার আর কোন কিছুর প্রয়োজন নেই । নিরাপত্তা রক্ষীদের বলবেন আপনি অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করেছেন।

প্রিন্টেড কাগজ

 ১২. অবশ্যই মনে রাখবেন আপনার পরনে যেন সাদা শার্ট বা পাঞ্জাবি না থাকে কারন সাদা পোশাক গ্রহণযোগ্য নয়। 

 ১৩. ছবি এবং আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হলে আপনাকে একটা প্রিন্টেড কাগজ দিবে, যেখানে আপনার সব তথ্য় এবং কত তারিখের মধ্যে আপনার পাসপোর্টটি দেয়া হবে তার তারিখ দেওয়া থাকবে।

১৪. এর পর আপনার আর কোন কাজ নেই, এখন পুলিশ ভেরিফিকেসন আসবে , আর পুলিশ রিপোর্ট জমা দিলেই আপনার মোবাইল এসএমএস আসবে কবে আপনি যাবেন পাসপোর্ট আনতে ।


 মনে রাখবেন এখন পাসপোর্ট করতে খুব কম সময় লাগে(সর্বোচ্চ ২১ দিন) এবং কোন ধরনের দালাল ধরার কোন প্রয়োজন নেই ।

Let’s Get Passport without bribe

Let’s Get Passport without "Bribe" Getting a passport without any bribe in Bangladesh is a far cry. In every step of ge...